গোলার ধান খেয়ে ফেলায় হাতির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি করেছেন চট্টগ্রামের এক কৃষক।
গত সোমবার ভোররাতে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার স্থানীয় থানায় হাতির বিরুদ্ধে অভিযোগটি দিয়েছেন স্থানীয় কৃষক নিপুণ কুমার সেন।
সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, চার/পাঁচটি হাতি তার বাড়ির উঠোনে ধান রাখার টিনের গোলায় হামলা করে অন্তত ১০০ আড়ি ধান নষ্ট করেছে।
স্থানীয় পরিমাপের হিসাবে এক আড়ি ধান বলতে ১০ কেজি বোঝানো হয়ে থাকে।
নিপুণ কুমার সেন বলছেন, কিছুদিন আগেই আমার জমি থেকে উৎপাদিত ধান তুলে বাড়ির উঠানের একটি গোলায় রেখেছিলাম। ছয় কানি জমি থেকে ( দুই একর ৪০ শতক) প্রায় চারশ আড়ি ধান হয়েছে।
” গত সোমবার (২২শে নভেম্বর) ভোর রাতে চার/পাঁচটি হাতি এসে আমার গোলার ধান উল্টেপাল্টে ফেলেছে। হাতিগুলো আনুমানিক প্রায় ১০০ আড়ি ধান নষ্ট করেছে। এলাকাবাসী হাতিগুলো দেখে চিৎকার শব্দ করতে থাকলে সেগুলো পরে পাহাড়ের দিকে চলে যায়।”
তিনি জানান, তাদের এলাকায় হাতির পাল প্রায়ই ফসলের নানা ক্ষেতে হামলা করে। গত বছর হাতির আক্রমণে একজন গ্রামবাসী নিহত হয়েছিলেন।
তিনি বলছেন, ”হামলার খবরটি জানার পর আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান বললেন, ক্ষতিপূরণ পাও না পাও, হাতির হামলার ঘটনাটা জানিয়ে একটি জিডি করে রাখো। তাই একটু দেরি হলেও একটা জিডি করেছি।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতির চলাচলের বা বসবাসের এলাকা নষ্ট করে বসতি তৈরি হচ্ছে, ফসলের চাষ করা হচ্ছে।
হাতির হামলায় সাধারণ ডায়রির তথ্য নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, ”গতকাল তারা সাধারণ ডায়রি করে গেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।”
তবে তিনি ধারণা করছেন, আসলে হাতির হামলায় যাতে সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়া সহজ হয়, সেই জন্য তারা এই জিডি করে থাকতে পারেন। এর আগেও বুনো প্রাণীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় থানায় জিডির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।-বিবিসি
এখন সময়/শামুমো